বাউফল প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা ভাইরাস শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে বিলম্বসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা শনাক্তে হাসপাতালে এসে নমুনা দেওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিনেও মেলেনা অনেকের রিপোর্ট।
জানা গেছে, বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন নমুনা প্রদানের জন্য আসলেও সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০টির বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়না। আবার নমুনা দেওয়ার পরে যথাসময়ে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্ট প্রদানে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ দিন বিলম্ব করা হয়।কালিশুরী গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত বশির আহম্মেদ ও সুমাইয়া আক্তার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত সন্দেহে গত ১০ দিন আগে নমুনা দিয়েছেন। অথচ এখন পর্যন্ত তাদের রিপোর্ট আসেনি বলে জানিয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একজন সিনিয়র ল্যাব টেকনেশিয়ান ও একজন ডিএসআইর খামখেয়ালীপনার কারণে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা সংগ্রহিত নমুনা যথাসময়ে আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য পাঠাননা। এ কারণে অনেক নমুনার কার্যকরীতা নষ্ট হয়ে যায়। সিভিল সার্জন অফিসের ওই সিনিয়র ল্যাব টেকনেশিয়ান রফিকুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালী সদরে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। নিজের আত্মীয় স্বজনদের প্রধান্য দিতে গিয়ে উপজেলার নমুনাগুলো পাঠাতে বিলম্ব করেন বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গির আলম বলেন,‘সারাদেশেই একই সমস্যা। নমুনা পরীক্ষার হার বেশি হওয়ায় রিপোর্ট পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া আরটিপিসিআরের ক্যাপাসিটি হিসাব করে নমুনা পাঠাতে হয়। অতিরিক্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রক্রিয়াজাত করে সিরিয়াল অনুযায়ি পরের দিন পাঠানো হয়।’ উল্লেখ্য, বাউফলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন মারা গেছেন, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪১ জন।
Leave a Reply